ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার / Diabetes avoid food

ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার |  ডায়াবেটিস হলে যে সকল খাবার খাওয়া যাবেনা

বর্তমান সময়ে ৪০ ঊর্ধ বেশিরভাগ মানুষই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । ডায়াবেটিস আক্রান্ত হবার পর মানুষ তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেনা । অথচ সাধারণ কিছু বিষয়ে আগে থেকে সচেতন থাকলেই এই ডায়াবেটিস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় । আমরা এই আর্টিকেলে কিছু বিষয় তুলে ধরব যা অনুসরণ করলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী এবং ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়নি এমন মানুষ ডায়াবেটিসের খারাপ প্রভাব থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে । একজন সাধারন মানুষ বা ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের খাবার দাবারের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিসকে বসে আনতে পারবে । ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার ,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের খাবার,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে যেসব খাবার,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করণীয়,টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিকারের উপায় কী?, ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কী কী উপায় রয়েছে?,ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা,ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ২০২5,ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল এসব খাবার বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে ।

ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার
ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার

ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের জানতে হবে Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার কোনগুলো  । আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে যেসব খাবার, সেসব খাবার ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন । ডায়াবেটিস রোগীদের শরীর খাবারের গ্লুকোজকে ম্যানেজ করতে পারে না । যার কারনে ডায়াবেটিস রোগীদের  শরীরে অল্পতেই গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় । ডায়াবেটিস রোগীরা যদি তাদের খাবারের গ্লুকোজকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে, তাহলে তারা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে । কিছু কিছু খাবার যেগুলো আমাদের খেতেই হয়, সেগুলো পরিবর্তন করা সম্ভব নয় । কিন্তু আমরা সারাদিনে মৌলিক খাবারের পাশাপাশি যে অতিরিক্ত খাবার খাই, সেগুলোকে কন্ট্রোল করার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারি । সুতরাং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করণীয় কি আর কি করা যাবেনা তা নির্ধারণ করতে পারলেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডায়াবেটিস থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে । তাই ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে ,প্রথমেই ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে ।

Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার হিসেবে : মিষ্টি পানীয়

ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার
ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার

ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার / Diabetes avoid food হিসেবে প্রথমে রাখতে পারি মিষ্টি পানীয় । সাধারণত কোকাকোলা ,পেপসি এজাতীয়  পানীয় চিনি ,Caffeine , লবণ ও রং মিশ্রিত কার্বন ডাইঅক্সাইড যুক্ত জল । এ ধরনের পানিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । একটি ৩০০ মিলিগ্রাম  পানীয় হতে প্রায় ৮ চা চামচের সমান চিনি থাকে । যদি এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোড ধরা হয় তাহলে পানিওটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৬৫ এবং গ্লাইসেমিক লোড ২১ ।  এগুলোর দুটোর মানই বিপদ সীমার উপরে ,অর্থাৎ  আপনার ব্লাডসুগার লেভেল অনেক বেড়ে যাবে, আপনি যদি এ জাতীয় পানীয় খেয়ে থাকেন  । ডায়াবেটিস রোগীদের এ ধরনের পানীয় কখনোই খাওয়া যাবেনা । যাদের ডায়াবেটিস নেই তারাও  যদি এ ধরনের পানীয় পান করে  তাহলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ২৬ শতাংশ বেড়ে যাবে ।  টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিকারের উপায় হিসেবে এই ধরনের কোমল মিষ্টি পানীয় ত্যাগ করাই ভালো । এ ধরনের পানীয় পান করার কারণে আপনার ব্লাড সুগার তো বাড়বেই সাথে শরীরের ওজনও বেড়ে যাবে যার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি বাসা বাঁধবে আপনার শরীরে ।

Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার : ফলের রস

ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার
ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার

আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার হিসেবে ফলে রস খেয়ে রাখতে পারি ।  ফলের রস কিন্তু  ফলের মতোই উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর মানুষের শরীরের জন্য ।  ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ সুগার আছে  । কিন্তু অপরদিকে ফলে থাকা ফাইবার আপনার শরীরে ব্লাড সুগার বৃদ্ধিতে বাধা দেয় । এজন্য বেশিরভাগ ফল খেলেও সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে । ফলের রসে কোন ফাইবার থাকে না, কিন্তু আপনি ফল খেলে ফাইবার পাবেন । অর্থাৎ ফলে সুগার নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপাদান কিন্তু ফলের রসে থাকে না । এজন্যই Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার হিসেবে ফলের রসকে রাখা হয়েছে  ।

এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের ফলের রসের পরিবর্তে ফল খাওয়া প্রয়োজন । তবে আপনি যদি ফলের রস খেতে চান,তবে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফলের রস খেতে পারেন । যেমন : আপেল ,কমলালেবু ,মুসুম্বি, স্ট্রবেরির মতো ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম , এই ফলগুলির রস সুগার কমাতে খেতে পারেন । অন্যদিকে  আম, আনারস, তরমুজের মত ফলের রসে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকায়, ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই এই ফলের রসগুলো না খাওয়াই ভালো । ডায়াবেটিস রোগীরা টাটকা ফলের রস কমবেশি খেলেও, প্যাকেট জাতীয় ফলের রস একদমই খাবেন না । কারণ প্যাকেট জাতীয় ফ্রুট জুসে অতিরিক্ত সুগার মেশানো থাকে ।

Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার :  মিষ্টি দই

ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার / Diabetes avoid food তালিকায় মিষ্টি দই কে আমরা তৃতীয় স্থানে রাখছি ।  মিষ্টি দই : দই এর প্রধান উপাদান হলো প্রোটিন । প্রতি ১০০ গ্রাম দইয়ে ১১ গ্রাম প্রোটিন ,ফ্যাট ৪.৩০ গ্রাম ,কার্বোহাইড্রেট ৩.৪০ গ্রাম থাকে । মিষ্টি দইয়ে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোডও খুবই কম থাকে ।  কার্বোহাইড্রেট এর তুলনায় প্রোটিন এবং ফ্যাট বেশি থাকে মিষ্টি দইয়ে । দইয়ে দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আরো কমিয়ে কমিয়ে দেয় । এজন্য দই ব্লাড সুগার কমানোর জন্য আদর্শ  খাবার ।  আপনি যদি দইয়ের সঙ্গে অন্য কোন খাবার খেয়ে থাকেন, তবে দই সেই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয় । এতে করে খাবারটি তার প্রাকৃতিক অনুযায়ী ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে না ।  দই সাধারণত প্রচুর প্রবায়োটিক রয়েছে ,যা আপনার অন্তরে প্রবায়োটিকের সংখ্যা ও ভ্যারাইটি বাড়াবে । এতে করে আপনার শরীর এবং পেট ভালো থাকবে । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টক দই  অত্যন্ত উপকারী  খাবার । অন্যদিকে  মিষ্টি দইয়ে সুগার থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের এটি এড়িয়ে যাওয়া আবশ্যক  ।

আরো পড়ুনsamsung galaxy f05 5g

ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার

Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার :  চা

ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার

চা ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার / Diabetes avoid food হিসেবে বিবেচিত হবে যখন আপনি চায়ের সাথে চিনি খাবেন চা  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ অত্যান্ত উপকারী পানীয় । চা চারটি ভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে ।

1. চা কোষের ইনসুলিন সেনসিভিটি বাড়ায় । রক্ত থেকে বেশি সুগার কোষে প্রবেশ করে , চা  সুগার নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে ।2. চা লিভারকে গ্লাইকোজেন এবং নন -কার্বোহাইড্রেট উৎস থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয় ।

2. নিয়মিত চা খেলে মাংসপেশির কোষগুলোতে গ্লুকোজের ব্যবহার বেড়ে যায় ,যার কারনে রক্তে সুগার কমতে থাকে ।

3. চা খেলে পাকস্থলীতে আলফা এমাইলেজ ও আলফা গ্লুকোসাইডেজ এনজাইমএর কার্যকারিতা কমে যায় ,ফলে অন্ত্রে কার্বোহাইড্রেটের ভাঙ্গন মন্থর হয় । কার্বোহাইড্রেট পরিপাক মন্থর হলে ব্লাড সুগার লেভেলও নিয়ন্ত্রণে থাকে ।

 চা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও, যখন চিনির সাথে এটি খাওয়া হয়, তখন এটি বিষ সমতুল্য হয়ে যায় । তাই ডায়াবেটিস রোগীর চায়ে চিনি মেশানো কখনোই উচিত নয় ।

Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার :  বিস্কুট

চায়ের সাথে খাওয়া বিস্কিট আপনার ব্লাড সুগারকে অত্যান্ত বাড়ায় । এজন্য বিস্কুটকে Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার হিসেবে রাখা যায় ।  বাইরের বেশিরভাগ বিস্কিট ময়দার মতো দানাশস্য এবং চিনির মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় । যদি আপনি প্রতিদিন চায়ের সাথে বিস্কিট খান, তবে আপনার ব্লাড সুগার কখনো নিয়ন্ত্রনে আসবে না । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুগারফ্রি বিস্কিট শপে খোঁজ করলেই পাবেন । এই ধরনের বিস্কিট ডায়াবেটিস রোগীরা খেলে ব্লাড সুগার বাড়বে না ।

Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার :  ড্রাই ফ্রুট

ড্রাই ফ্রুট : পুষ্টিগুণে ড্রাই ফ্রুট খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার । ড্রাই ফুড কে অত্যান্ত পুষ্টিকর খাবার হিসেবে  চিন্তা করলেও আমরা ড্রাইফুটকে Diabetes avoid food / ডায়াবেটিসে নিষিদ্ধ খাবার তালিকায় রেখেছি । কারণ ফল শুকিয়ে গেলে ফলের ওজন কমে যায় । কিন্তু তাতে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ,ভিটামিন ,খনিজ ও অন্যান্য ফাইটোকেমিক্যাল একই থাকে । আপনি যদি মনে করেন শুকিয়ে যাওয়া ফলে  প্রোটিন , ফ্যাট, কার্বোহাইড্র, ভিটামিন ও খনিজ বেশি পাওয়া যাবে এই ভাবনা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ঠিক নয় । ড্রাই ফুটে সুগারের পরিমাণ বেশি থাকায় গ্লাইসেমিক লোড বাড়িয়ে দেয় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর  । এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের ড্রাই  ফ্রুট খাওয়ার তুলনায় ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো ।

আরো পড়ুনVivo V50 5g

Conclusion

আপনি লক্ষ্য করলে বুঝবেন, উপরে আলোচিত ছয়টি খাবারের মধ্য কোনোটি প্রধান খাবারের মধ্যে পড়ে না  । আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকা থেকে উপরে আলোচিত ছয়টি খাবার বদলাতে পারেন, তবে আপনার সুগার  নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়ে যাবে ।


 আমরা এই আর্টিকেলে মাধ্যমে ডায়াবেটিস খাবার, ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কী কী উপায় রয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ২০২5 ইত্যাদি ব্যাপারে গবেষণা তুলে ধরেছি । ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যক্তিরা উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলার মাধ্যমে ডায়াবেটিসকে কন্ট্রোল করে সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবে ।

ডায়াবেটিস রোগীরা কি বিস্কুট খেতে পারে ?

না, ডায়াবেটিস রোগীরা বিস্কুট খেলে তাদের তাদের রক্তের সুগার লেভেল বেড়ে যায় |

ডায়াবেটিস রোগীরা কি চা খেতে পারে

ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারে |

ডায়াবেটিস রোগীরা কি ফল খেতে পারে ?

হ্যাঁ ডায়াবেটিস রোগীরা কিছু কিছু ফল খেতে পারে । যেমন : আপেল ,কমলালেবু ,মুসুম্বি, স্ট্রবেরির মতো ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম , এই ফলগুলির রস সুগার কমাতে খেতে পারেন । অন্যদিকে  আম, আনারস, তরমুজের মত ফলের রসে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকায়, ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই এই ফলের রসগুলো না খাওয়াই ভালো ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top